এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে পাসের হারে সেরা যশোর শিক্ষা বোর্ড। এ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পাওয়ায় মেয়েরা এগিয়ে আছে। আর পাশের সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে ছেলেরা। বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলের বিশ্লেষন করে এতথ্য জানা গেছে। তবে গত তিন বছরের তুলনায় এবছর পাসের হার বেশি বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।
বোর্ডের দেয়া পরীক্ষা ফলাফল সীটের উল্লেখ করা হয়েছে এবছর ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০১ জন। পরীক্ষায় পাস করেছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৪ জন পরীক্ষার্থী।এর মধ্যে পাস করেছে ছেলে ৮০ হাজার ৮৫৮ জন মেয়ে ৮০ হাজার ৪৫৬ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০ হাজার ৮৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলেদের তুলনায় ৩ হাজার ৬৫৮ জন মেয়েরা বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ২৭৫জন।আর ১৩ হাজার ৬১৭জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ৫৪ হাজহার ৭৫০ জন, ৩ দশমিক ৪ গ্রেড পেয়েছে ৩২ হাজার ৫৯০ জন, ৩ থেকে ৩দশমিক ৫ গ্রেড পেয়েছে ২৫ হাজার ১৩০ জন, ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ১৭ হাজার ১৫৭ জন,১ থেকে ২ গ্রেড পেয়েছে ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছে পাস করেছে ৩৭ হাজার ৭৬৮ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ হাজার ৭০১জন, ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ১২ হাজার ২৮৭জন । এর মধ্যে ১১ হাজার ৯২৪ জন মেয়ে ও ১১ হাজার ৭৭৭ জন ছেলে।৩ দশমিক ৫৪ গ্রেড থেকে ৪গ্রেড পেয়েছে হাজার ৩১৮ জন ৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ গ্রেড পেয়েছে৩৬১ জন ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ১০১ জন। মানবিক শাখায় পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭১২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৫৬৫ জন, এর মধ্যে মেয়ে ৩ হাজার ৭০৩ জন ও ছেলে ৮৬২ জন। ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ৩১ হাজার ৪৩২ জন, ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ গ্রেড পেয়েছে ২৬ হাজার ৫৭২ জন, ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ১৫ হাজার ৯৮২ জন, ১ থেকে ২ গ্রেড পেয়েছে ৭৫৩জন পরীক্ষার্থী। বাণিজ্য শাখায় পাস করেছে ২১ হাজার ৮৩৪ জন। এর মধ্যে জিপ্্ির -৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬২৬ জন। এর মধ্যে মেয়ে ১ হাজার ৬৪৮ জন ও ছেলে ৯৭৮ জন। ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ১১ হাজার ৩১ জন, ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ গ্রেড পেয়েছে ৪ হাজার ৭শ, ৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ গ্রেড পেয়েছে ২ হাজার ৩৬১ জন, ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ১ হাজার ৭৪ জন, ১ থেকে ২ গ্রেড পেয়েছে৪২ জন পরীক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডে ষষ্ঠ থেকে দশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্রশ্ন ব্যাংকের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়। এজন্য তাদের মুল বই পড়ে পরীক্ষা দিতে হয়। বন্যার কারনে পরীক্ষা পিছিয়ে গেলেও শট সিলেবাসে উত্তর দেয়ার সুযোগ বেশি ছিল এজন্য ভাল ফলাফল করেছে।