যশোরে সাত জেলার যুবলীগের প্রস্তুতি সভা
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ৯১ সালে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন। তাদের সরকারের আমলে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, সংকট ছিল বিদ্যুতের। দেশের মানুষ ঠিকমত তিন বেলা খেতে পাননি। মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। দেখা দেয় হাহাকার। এই দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে দেশের জনগণ ১৯৯৬ সালে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে দেশে খাদ্য ঘাটতি, বিদ্যুৎ সংকট দূর করেন। মানুষের মুখে খাবার তুলে দেন। সেই সাথে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে থাকেন। পাশাপাশি মানুষের মানবিক কল্যাণের জন্য বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেন। মানুষের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। তবেই সম্পূর্ণ দরিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।
যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সোমবার জেলা পরিষদ মিলনায়নে (বিডি হল) যশোরসহ সাংগঠনিক সাত জেলার যুবলীগের নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর দেশে বাংলা ভাই জন্ম নেয়। জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া বিদেশে অর্থ পাচার করে। খালেদা জিয়ার পরিবারের দুর্নীতিতে দেশ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। বিশে^ দুর্নীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দেশের ও মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ যাচ্ছেন। ভূমিহীনদের স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করেছেন। উন্নয়নের দিক দিয়ে বিশ্বে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। তার দৃশ্যমান উন্নয়ন হল দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ। তাই বিএনপি জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র রাজপথে প্রতিহত করা হবে। তিনি ২৪ নভেম্বর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সবার প্রতি আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসেন। দেশে আসার পর তাকে অনেকবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তারপরও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। আন্দোলন সংগ্রাম করে বিশে^ দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। অথচ তারেক জিয়া বিদেশে পালিয়ে থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেন। জনগণের মাঝে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছেÑ বিএনপির নেতা কে, খালেদা জিয়া নাকি তারেক জিয়া। তাই দেশের জনগণের কাছে বিএনপির কোন প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা থেকে বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতা দখলের দিবা স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। (সালমান-
এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত) সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন, যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুসহ সাংগঠনিক সাত জেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়করা। সভা পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল