মহা ধুমধামে জয়যাত্রার এক দশক উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
“সত্যের জন্য যে যাত্রা,তার ই নাম জয়যাত্রা” শ্লোগান ধারণ কারী সংগঠন জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন পার করলো পথচলার দশ বছর তথা এক দশক। এই পথচলায় জয়যাত্রার রয়েছে অসংখ্য মানবিক ও সামাজিক কাজের গর্বিত ইতিহাস। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া-রূপসা থেকে পাথুরিয়া, দেশের প্রতিটি প্রান্তর জুড়ে আছে জয়যাত্রার মানবিকতার ছোঁয়া। জয়যাত্রাকে বাংলার প্রতিটি জনপদের অসহায় মানুষদের দুঃখের অংশীদার করার জন্য বিরামহীন কাজ করেছেন সংগঠনটির প্রাণ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর। যিনি কারও কাছে মাদার হেলেনা। কারও কাছে সিস্টার হেলেনা। এই মানুষটির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণেই সম্ভব হয়েছে দীর্ঘ দশ বছর মানবিক ও সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে জয়যাত্রার সফল পথচলা। তিনি মানেননি কোন বাধা-বিপত্তি-প্রতিবন্ধকতা। পরিবারের মতই আপন করে নিয়েছেন মানবিক সংগঠন জয়যাত্রা জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে।
গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরাস্থ স্কাই সেপ রেস্টুরেন্টে (রূপটপ) মহা ধুমধামে পালিত হলো জয়যাত্রার এক দশক পূর্তি। গতানুগতিক কোন নিয়মে আবদ্ধ ছিলনা সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলা এই আয়োজন। বড়-ছোট,অতিথি-দর্শক-আয়োজক এই নিয়ে কোন বৈষম্যও ছিলনা। সবাই রাজা সবাই প্রজা। কথা,কবিতা,গল্প,গাণে সবাই মেতেছিল সাম্যের উৎসবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জয়যাত্রার ভলান্টিররা মঞ্চে কিছু আসন বসাতে গেলে বাধ সাধেন চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর। তাঁকে বলতে শোনা যায়,”আজ আমাদের আনন্দের দিন,আজ এখানে কোন ভেদাভেদ নেই,সবাই সমান আমরা। আজ সবাই প্রাণভরে আড্ডা দিব।”
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সাহিত্যিক,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,শিল্পী,তারকা,ক্রীড়াবিদে,রাজনীতিবিদ,চিকিৎসক,আইনজীবী,প্রোকৌশলী,জনপ্রতিনিধি,প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্মকতাসহ সুধীজন। আরও এসেছিলেন জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সদস্য বৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিল জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাকিল খানের স্বীয় কন্ঠে স্বরচিত কবিতার আবৃত্তি এবং সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও জনপ্রিয় অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুনের রম্য কথা।
সরকারের সাবেক সচিব শেখ রেজাউল ইসলাম এবং এক সময়কার তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনার গাণ অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে৷ গানে গানে মাতিয়েছিল এ সময়কার জনপ্রিয় শিল্পী জন,আলিফ,সাজ্জাদ হোসেন,মোরশেদা মল্লিক,শেখ হেমায়েত উদ্দিন। ক্ষুদে গান রাজ এর দুই শিল্পী নুজহাত সাবিহা পুষ্পিতা আর অদিতি অথিতো একদম ফাটিয়েই দিয়েছিল। পুষ্পিতাকেতো দ্বিতীয়বার মঞ্চে উঠতে হয়েছে শ্রোতাদের জোর অনুরোধে। জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর আগত সকলের ভালো-মন্দ দেখভালেই ছিলেন সার্বক্ষণিক। তাঁর আন্তরিকতায় মায়া আর ভালোবাসায় ঘেরা ছিল পুরো অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আগতরা তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছাও জানান। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং জয়যাত্রার সাথে মানবিকতার মিছিলে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনিই সমাপ্তি টানেন এ অনুষ্ঠানের।
চমৎকার উপস্থাপনায় পুরো আয়োজন জুড়ে সবার মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন এই সময়কার জনপ্রিয় উপস্থাপক প্রীতি স্পর্শ। আয়োজনের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন,জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব রোটারিয়ান রাকিবুল হাসান।