চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির ঘটনায় জড়িত ৫ শিক্ষক তদন্ত কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যশোর শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কর্মকর্তাদের মুখোসুখি হন তারা। তারা দাবি করেছেন এঘটনার জন্য তারা দায়ী নয়। প্রশ্ন ছাপানোর কাজে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারনে এমনটি হয়েছে।
এরা হলেন কারন যে প্রশ্ন নিয়ে এতো তোলপাড়, সেটি ১১ নম্বরের প্রশ্ন। ওই প্রশ্নটি কেটে দিয়ে তারা নিচে প্রশ্ন লিখে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন ছাপানোর কাজে দায়িত্বরতরা এটা বুঝতে পারে ভুল করায় এই সমষ্যার সৃষ্টি হয়ে। আর তাই প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারীবা মডারেটররা দায়ী নয়। জানা গেছে ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির সাথে জড়িত ৫ শিক্ষকের বক্তব্য নিয়েছে যশোর বোর্ডের তদন্ত কমিটির আহবায়ক কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রণয়নকারী শিক্ষক ও মডারেটররা জানান এ ভুল তাদের নয়। প্রশ্ন ছাপানো কর্তৃপক্ষের। প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল বলেন প্রশ্নে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলা ঠিক নয়। আমি তদন্ত কমিটির কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। তারপরও তিনি জানান, প্রশ্ন প্রণয়নের ভুল সংশোধনের দায়িত্ব মডারেটরের। যদি মডারেটর প্রশ্নের ভুল সংশোধনের ব্যর্থ হয়,তাহলে প্রশ্ন প্রণয়নকারী দোষী হয় কি ভাবে। প্রশ্নে মডারেটর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম জানান প্রশ্নের এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্রের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়ে তিনি দোষী নয়। তিনি আরো জানান, যে প্রশ্ন নিয়ে এত তোলপাড়া সৃষ্টি হয়েছে সেটি ১১ নম্বরের প্রশ্ন। ওই প্রশ্নটি কেটে দিয়ে তার নিচে আরেকটি প্রশ্ন লিখে দেয়া হয়। প্রশ্ন ছাপানো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতরা এটা বুঝতে ভুল করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য প্রশ্ন প্রণয়নকারী বা মডারেটররা দায়ী নয়। নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ জানান বোর্ডের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনী সব কাগজ পত্র দাখিল করেছি। এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না। আপনার যা কিছু শুনতে হবে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে।
ওই প্রশ্নপত্র মডারেটর, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওনের ০১৮১৮-৪০৩২৮৪ ও সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমানের ০১৭১২- ৭২৩৯৫২ মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এমনকি বোর্ডের তদন্ত কমিটির আহবায়ক কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানীর মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান কাবীব জানান, এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আসলে সঠিক তথ্য বলতে পারবো। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, মডারেটররা ভুল বা উস্কানিমূলক প্রশ্ন কেটে দিয়েছে সেটা তাদের বলতে হবে না। প্রশ্নে পান্ডলিপি আছে। সেটা দেখে বলবে তদন্ত কমিটি ,এরজজন্য দায়ীকে? কারণ মডারেটররা চার বছর ধরে এ দায়িত্ব পাল করছেন।