প্রতিনিধি, গাজীপুর
গ্রাম ও নগরের স্বাস্থ্যের সূচকগুলো বিবেচনায় নিলে গড়ে দেখা যাবে নগরের অবস্থা ভালো। কিন্তু আমরা যদি নগরের দরিদ্র এলাকাগুলোর সঙ্গে অন্যান্য এলাকা আর গ্রামের তুলনা করি, তাহলে দেখব নগরের দরিদ্র এলাকাগুলোর পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। যেমন গ্রামাঞ্চলের তুলনায় নগরের দরিদ্র এলাকায় শিশুমৃত্যু ও শিশু অপুষ্টির হার অনেক বেশি। কিশোরী ও মাতৃস্বাস্থ্য, প্রজননসেবাসহ স্বাস্থ্যক্ষেত্রের অন্যান্য সূচকেও একই চিত্র মিলবে।
বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার আমতলী এলাকায় একটি মিলনায়তনে ‘নগর স্বাস্থ্য ও সুস্থ নগর ধারণার উপর সংবাদ কর্মীদের জন্য কর্মশালা’য় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নে সংবাদ কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় কেয়ার বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য টেকনিকেল কো অর্ডিনেটর হাফিজুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় একটি প্রক্রিয়া আছে কিন্তু নগরে সঠিক কোনো প্রক্রিয়া নেই। গ্রামের মানুষ প্রথমে কমিনিউটি ক্লিনিকে সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপরে জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু নগরের মানুষের মধ্যে চিকিৎসার সেই প্রক্রিয়াটা পাওয়া যায় না।
খাইলকুর বাদশা মিয়া অগ্রণী বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সোহানা হক জানায় , তাদের স্কুলে আগে কিশোরীদের মাসিককালীন সময়ে মেয়েরা অনুপস্থিত থাকতো কিন্তু এখন স্কুলে সেনেটারি নেপকিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সম্মত ডাস্টবিন তৈরি করা হয়েছে। তাই বর্তমানে স্কুলে অনুপস্থিতির হার অনেক কমে এসেছে। এই ব্যবস্থাটা প্রতিটি স্কুলেই থাকা উচিত।
নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নে সংবাদ কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেয়ার বাংলাদেশের কো অর্ডিনেটর মনীষা মাফরুহা, পোগ্রাম অফিসার দিলারা তালুকদার, আবদুল্লাহ আল মুঈজ, উন্মে সালমা, শেখর দাস ও আলাউদ্দিন হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেয়ার বাংলাদেশের আরবান হেলথ প্রকল্প।