নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লক্ষ্মী রানী দেবনাথ (৩৫) এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পরিবারের দাবি করছে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে। উক্ত ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদরের নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের অর্ন্তগত নিমাইকান্দি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ। মৃত লক্ষ্মী রানী দেবনাথ উপজেলার ১৩নং সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের নারায়ণ দেবনাথের স্ত্রী ও যাত্রাপুর গ্রামের হরিপদ চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে।
লক্ষী রানী দেবনাথের মেয়ে বর্ষা রানী দেবনাথ (১৪) অভিযোগ করে বলেন, ” ” আমাদের পরিবারের সঙ্গে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়ার (২৮) সুসম্পর্ক ছিল। সুলতানের সঙ্গে আমাদের টাকার লেনদেন ছিল। ওই টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে কিছুদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। বৃহস্পতিবার বিকালে সুলতান আমাদের বাড়িতে আসে এবং মায়ের সঙ্গে কথা বলছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।সেটি দেখে আমার ছোট ভাই (৪) চিৎকার করলে সুলতান ছোট ভাইকে গালে থাপ্পড় দেয় এবং ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় সুলতান। কিছুক্ষণ পর আমার বিষয়টি সন্দেহজনক হলে দরজা খোলার চেষ্টা করি। আমার চিৎকারে সুলতান দরজা খুলে এবং ঘরে প্রবেশ করে মায়ের দেহ ঝুলে আছে দেখতে পেয়ে সুলতানকে আটকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে আটকানোর সময় তার পরনের শার্টের একটি বোতাম আমার হাতে চলে আসে। ”
লক্ষী রানী দেবনাথের স্বামী নারায়ণ দেবনাথ বলেন, ” আমার স্ত্রীকে সুলতানই হত্যা করেছে। এই ঘটনার সাক্ষী আমার মেয়ে ও চার বছরের শিশু ছেলে। আমি এমন ন্যক্কারজনক হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করছি। ”
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম বলেন, ” বিষয়টি প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মহিলাটি ও অভিযুক্ত ছেলেটির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল! মৃত্যুর ঘটনার পূর্বে তাদের দুইজনের মধ্যে কিছু মারামারি হয়েছে। মরদেহে মারামারির চিহ্ন পাওয়া গেছে তবে মৃত্যু হওয়ার মতো কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। “