কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগরে পিকআপ ভ্যানে সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে কিশোরদের নাচানাচি বন্দে বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম। বুধবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এসব গান-বাজনা বন্ধ করে দেন এবং দুটি পিকআপ ভ্যান থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন মুরাদনগর থানা পুলিশ। ঈদের দিন রামচন্দ্রপুর সড়কে পিকআপে করে উশৃংখলতা করার সময় তিনজন ছেলে ভ্যান থেকে পড়ে যায় আহত হয়ে পুনরায় ভেঙে উঠে উশৃংখলতা শুরু করে।
মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান রনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাশিম ভাই এই অপসংস্কৃতি হয়তো দমাতে পারবেন! কিন্তু সমাজের সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাইলেই সম্পূর্ণভাবে তা প্রতিহত করা সম্ভব।”
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক রুহুল আমিন মুরাদনগর থানা প্রশাসনকে প্রশংসা করে তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোরদের দ্বারা সৃষ্ট শব্দ দূষণ ও অপসংস্কৃতি রুখে দিয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করায়, মুরাদনগর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ।”
উপজেলা যুবলীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম জুয়েল তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, “পিকআপে লাউড স্পিকার লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজনা করায় পিকআপ আটক করায় মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম ভাইকে ধন্যবাদ।”
উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জকে প্রশংসায় ভাসিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা। বিভিন্ন সংগঠনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজ ও গ্রুপে প্রশংসনীয় ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিষয়টিকে।
এলাকাবাসী জানান, “পবিত্র ঈদ ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে এলাকার চ্যাংড়া পোলা পানেরা স্পিকার লাগিয়ে গাড়ি দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে গান বাজানোর যে অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে তা বন্ধ করার লক্ষ্যে মুরাদনগর থানা প্রশাসন যে ভূমিকা নিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম বলেন, আজকাল দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও পবিত্র ঈদ উপলক্ষে উঠতি বয়সের বাচ্চারা গাড়িতে স্পিকার লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে রাস্তায় রাস্তায় যেভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত শব্দ দূষণের কারণে এলাকাবাসীও বিব্রত। হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য বিষয়টি অসহনীয়। তাই দুটি পিকআপ ভ্যানকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে যাতে এগুলো দেখে অন্যরা এসব কাজ থেকে বিরত থাকে। এগুলো বন্ধের লক্ষ্যে মাঠে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।”