বাংলাদেশ প্রতিবেদন আহমেদ সাব্বির রোমিও :নামের আগে চিত্রনায়িকা শব্দটি ব্যাবহারের জন্য বিক্রি করছেন নিজের জমি। সিনেমার শীর্ষ নায়িকা হওয়ার জন্য ছোটবেলায় চট্টগ্রামের আনোয়ার এলাকার বাড়ি ছেড়েছিলেন সুলতানা রোজ। গত ১৫ বছর ধরে নায়িকা হওয়ার আশায় চলচ্চিত্র পাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছন। কিন্তুু ভাগ্যের চাকা কিছুতেই ঘুর ছিলো না। মহরৎ হয়, ২/৪ দিন স্যুটিং তারপরে সব শেষ! এভাবেই চলছিলো রোজের নায়িকা হওয়ার বন্ধুপথ। স্যুটিং আছি পর্দায় নাই! ‘টাকা বড় না শিক্ষা বড়’, ‘বাবার প্রতিশোধ’, ‘আমাদের বাউল’, ‘টাইটানিক’সহ বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেইসব আলোর মুখ দেখেনি।
শেষ পর্যন্ত নিজেই লগ্নি করে হয়েছেন নায়িকা! এই নবাগতা জানান, আগামীতে তার প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে। সে কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন। আরও জানান, তার ‘বড্ড ভালোবাসি’র বেশীরভাগ শিল্পী কলকাতার। রোজের ইচ্ছে ছিল, আগে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি দেবেন। বললেন, আমার আব্বু মারা যাওয়ার পর আর কলকাতায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে করোনা চলে আসে। এবার ঈদে মুক্তি দিচ্ছি। গলুই, বিদ্রোহী এসবের আগেই আমার এই ছবি মুক্তি দেব সিদ্ধান্ত নিই। ঈদের দিন সাতেক বাকি থাকলেও রোজ জানেন না তার প্রযোজিত ‘বড্ড ভালোবাসি’ কত সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। ঈদে ছবি মুক্তি দেয়ার জন্য গত তিন বছর এই ছবি নিয়ে অপেক্ষা করছি। দুই-চারটি সিনেমা হল পেলেও আমি মুক্তি দেব। ‘বড্ড ভালোবাসি’রর প্রসঙ্গ টেনে এই নবাগতা বলেন, ৯০ দশকের ধাঁচে ছবি বানানো হয়েছে। কারণ ওই সময়ের ছবিগুলো মানুষ বেশি দেখতো।
আমিও তখনকার ছবি দেখে নায়িকা হতে আগ্রহী হই। ৯০ দশকে যেসব দর্শক ছবি দেখতে পছন্দ করতেন আমার বিশ্বাস তারা হলে গিয়ে আমার এই ছবিটা দেখবে। আমি এখানে ডাবল ক্যারেক্টার করেছি। রিস্ক নিয়ে কাজ করেছি। শারীরিক মানসিক আর্থিক সবদিক থেকে ‘বড্ড ভালোবাসি’ বানাতে গিয়ে কষ্ট করেছি। তাই আমার কাছে এই ছবিটা সবচেয়ে দামি। এর জন্য আমি ৮৬ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখনও পর্যন্ত একটি টাকা তুলতে পারিনি বা কোনো স্পন্সর পাইনি। নায়িকার হওয়ার স্বপ্নে ১৫ বছর ঘর ছাড়া সুলতানা রোজ নিপা আরো বলেন ‘আমার বিউটি পার্লারের ব্যবসা আছে, গার্মেন্টস এর টুকটাক ব্যবসা করি। পারিবারিক কিছু জমি ছিল সেখান থেকে বিক্রি করে ছবি বানিয়েছি সেই কথা শুরুতেই বলেছি।