সুদীপ দেবনাথ (রিমন সূর্য) রবিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানস্থ বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে ‘ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ইয়ুথ এন্টারপ্রিনিউরিয়াল ফেস্টিভ্যাল-২০২২’পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত নসরুল হামিদ বিপু, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী,
সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সীমা হামিদ, সভাপতি মুনা চৌধুরী, ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুনা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সীমা হামিদ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ড. মো. মশিউর রহমান, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ডলি জহুর, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা, পরিচালক সালাউদ্দিন লাভলু প্রমুখ। ‘ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘টোটাল এনারজিস প্রেজেন্টস ইয়ুথ এন্টারপ্রিনিউরিয়াল, ফেস্টিভ্যাল-২০২২’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সংগঠনটি ইতোমধ্যে অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে একটি মানবিক ও প্রগতিশীল সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের ২৭টি দেশে সংগঠনটির শাখা বিস্তৃত। পর পর দুই বছর যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘জয় বাংলা’ উৎসব উদযাপনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি সফলভাবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছে। ‘ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন’ দেশে-বিদেশে বাংলা সংস্কৃতির অগ্রযাত্রায় অসামান্য অবদান রাখছে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তা উৎসব-২০২২’ এ অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মাঝে আমি যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখেছি। সেজন্য অদূর ভবিষ্যতে তারা আরো সফলকাম হবে বলে আমি আশাবাদী। জমকালো উৎসব আয়োজনের জন্য তিনি এসময় আয়োজক কর্তৃপক্ষ ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সীমা হামিদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে আমরা একটি অভূতপূর্ব ‘ইকোনমিক ট্রাঞ্জিশন’র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দেশে আজ শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ আছে। প্রতিটি গ্রাম ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে। এভাবেই আমাদের অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী হচ্ছে। একটি দেশের অর্থনীতি যখন শক্তিশালী হতে থাকে তখন সেই দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলও বদলে যেতে শুরু করে। তরুণ উদ্যোক্তারাই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান গেম চেঞ্জার হবে। তারা তাদের নিত্য নতুন আইডিয়া ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে অর্থনীতির গতিপথ পাল্টে দিবে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুই প্রতিমন্ত্রী।