বাংলাদেশ প্রতিবেদন : গত শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ঢাকার খিলগাঁও মডেল কলেজে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সম্মেলনে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের ১৪১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে।এতে সভাপতি পদে কার্তিক সরকার, সাধারন সম্পাদক মোঃ সোলায়মান প্রামিণিক ও মোঃ জাফর আলী সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়।এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা পদে রফিকুল ইসলাম মন্টু, সিনিয়র সহ সভাপতি জিয়া শাহীন, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি নার্গিস নাহার, সহসভাপতি আলিম দাড়িয়া,সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান আপন,সহ-সভাপতি ইশা তালুকদার,সহ-সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম শাহিন,সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস মুন্সী,সঞ-সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ খান,সহ-সভাপতি আহমেদ শাহীন,সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ,সহ-সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম,সহ-সভাপতি মোঃ জুলমত আলী,সহ-সভাপতি নাসির হোসেন তালুকদার,সহ-সভাপতি মোঃ জুবাইদুর রহমান,সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ছালাম বেপারী,সহ-সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম,সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম যুগ্ন-সম্পাদক পদে সুমন মিয়া ও রাজন চন্দ্র দাস,লুৎফর রহমান রিপন সহ অনেকেই বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হন।
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন গ্রেড ১১তম প্রদান।পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার করাসহ ৫ দফা দাবী মেনে নিতে সরকারকে মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের পাঁচ দফা দাবি হলো, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়া,পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা অথবা অফিস সুপার করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নের কম্পিউটার সহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকৃত চাকুরী বিধি ২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি অথবা গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রূত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা এবং সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।
পরিষদের নবনির্বাচিত নেতারা বলেন,স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা । আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের পেশাগত উন্নয়ন, বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঈদের পর সারা দেশে একযোগে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো। তারপর ও আমাদের নায্য দাবি মেনে না নিলে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।