শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।।
কক্সবাজার জেলার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আক্তার উদ্দিন হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সলিম উল্লাহকে ২০ বছর পর চট্টগ্রামের বাকলিয়া হতে আটক করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। গত ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, কক্সবাজার সদর থানাধীন লারপাড়া কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকায় গত ২০০২ সালে ২৮ জুন রাত আনুমানিক ৩ টার সময় কতিপয় দুস্কৃতিকারী আক্তার উদ্দিনকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে তার ভাই আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং-৩১, তারিখ-২৯/৬/ ২০০২) ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩০২/৩৪ পেনাল কোড)।
মামলাটি তদন্ত শেষে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামী সলিম উল্লাহসহ অপর ৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত কক্সবাজার সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে গত চলতি ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারী ১ জন আসামীকে মুত্যুদন্ড এবং ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের প্রধান রায় ঘোাষনা করেন।
র্যাব-৭ জানায়,উক্ত ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে আসামী সলিম উল্লাহ @ দুবাইয়া গত ২০ বছর ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করে বসবাস করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখেন। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সলিম উল্লাহ চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাজখালী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ এপ্রি রাত ১১ টা ৩৫ মিনিটের সময় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বাকলিয়া রাজখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী সলিম উল্লাহ @ দুবাইয়া (৪০)
গ্রেফতার করেন। ধৃত সলিম উল্লাহ কক্সবাজার সদরের আর্দশ গ্রাম এলাকার মৃত আহম্মদ হোসেন @ মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত সলিম উল্লাহ অপকটে স্বীকার করেন, সে আক্তার উদ্দিন হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো।
গ্রেফতারকৃত আসামী সলিম উল্লাহকে ১৪ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস্য উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরনকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারন জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।