থানায় জিডি,বাঁধের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সাংবাদিকে প্রাণ নাশের হুমকি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দু নেতা।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শহীদনূর আহমেদকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন ভুক্তভোগী এ সাংবাদিক। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি ও দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকায় কর্মরত আছেন।
এদিকে, হাওরে বাঁধের অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদের জেরে সাংবাদিক শহীদ নূরকে হত্যার হুমকি দেয়ায় ক্ষুব্দ সুনমাগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা। বিষয়টিকে ক্ষমতাশীল সরকার দলের লোকদের বাড়া বাড়ি বলেই মনে করছেন তারা।
জিডি সূত্রে জানা যায়,বেশ কিছুদিন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে বাঁধের কাজের অনিয়মের ফলে ফসলহানির ঘটনায় একের পর বাঁধের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রচার করে আসছেন আরটিভির সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি শহীদনূর আহমেদ। এ অবস্থায় সোমবার রাতে হঠাৎ তার ফোনে কল করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমেদ। এসময় নাইম হাওরের দুর্নীতিতে ছাত্রলীগকে কেন জড়িত করা হয় সেটি জানতে চেয়ে শহীদনূরকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। এ বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে এর পরিণাম খুবই খারাপ বলেও হুমকি দেন তিনি।
এছাড়াও আজ মঙ্গলবার দুপুরে একই কারণে ফোন দিয়ে সাংবাদিককে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ এবং সাংবাদিকের মা-বাবা থেকে শুরু করে পরিবারের সবাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন শান্তিগঞ্জ যুবলীগের নেতা মতিউর রহমান মতি। এসময় মতি নিজেকে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের খাস লোক বলে পরিচয় দেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী সাংবাদিক শহীদনূর আহমেদ বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে আমি বাঁধের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ তুলে ধরছি। গত দুইদিন আগে আমি শান্তিগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে হাওরে বাঁধের অনিয়মের কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করি। এসময় ওই এলাকার কয়েকজন মানুষ বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। এরপর থেকেই আমাকে ফোন দিয়ে একটানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং থানায় এদের বিরুদ্ধে জিডি করেছি। আশা করি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,আমরা এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবো। একজন সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া কোন ভাবেই কাম্য নয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।