কক্সবাজার প্রতিনিধি।।
দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা এবং ব্যবসা প্রতিষ্টানে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার
পৌর আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত মোঃ আমির উদ্দিন প্রকাশ হাতকাটা আমির (৩২) শহরের ৮নং ওয়ার্ডের বৈদ্যঘোনা এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে ও পৌর ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার (৯এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ফখরুল ইসলাম একজন
ঔষধের দোকানদার। অভিযুক্ত আমির উদ্দিন ও আবদুল মতলব তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ভিকটিমের দোকানে গিয়ে দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেদম মারধর করে এবং ফার্মেসীতে ভাংচুর চালায়। সন্ত্রাসীরা ফার্মেসীর ক্যাশ থেকে নগদ ১১ হাজার ২ শ টাকাও নিয়ে যায়। ঘটনায় আহতের চিৎকারে আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা আহত ফকরুলকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন বলে জানান আহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, আমির ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের যেন শেষ নেই। এলাকায় তার পুরো পরিবারই বিএনপির পরিবার হিসেবে পরিচিত হলেও গেল সম্মেলনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বনে যায় এই আমির। টেকনাফের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর টেকনাফ দক্ষিণ লম্বরীপাড়া এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের মৃত বকসু মিয়ার ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী মোঃ আমিনের সাথে তার বোনকে বিয়ে দিয়ে টাকা ওয়ালা বনে যায় তার পরিবার। ইয়াবার টাকায় বৈদ্যঘোনায় আলিশান বাড়ি তৈরি করে। ব্যবসা নির্বিঘ্নে করতে বিশ্বস্ত হিসেবে স্ত্রীর ভাই আমিরকে ব্যবসা দেখাশোনার দায়িত্ব দেয় বোনজামাই। বৈদ্যঘোনা এলাকায়ও গড়ে তুলে ইয়াবা ব্যবসার সিন্ডিকেট। তার নেতৃত্বেও রয়েছে উঠতি বয়সের আরো ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ। এই আমির উদ্দিন ৩/৪ বছর আগে ১ম স্ত্রীকে ১ কন্যাসহ ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে পরকিয়া প্রেম করে প্রবাসীর বউকে ঘরে তুলে আনে। এছাড়া, ২০১২ সালের দিকে রাত ৯/১০ টার দিকে বায়তুল ইজ্জত এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে মিস ফায়ারে তার বামহাত জ্বলসে যায়। চিকিৎসা করতে গেলে নিরুপায় হয়ে তার হাত কেটে ফেলতে হয়। তখন থেকে হাতকাটা আমির হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করে। এই আমিরই এলাকার কিশোরগ্যাং লিডার। এলাকার শান্তি শৃংখলা নষ্টকারী আমিরকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।