এম এ আশরাফ, ভোলাঃ ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চকিদার বাড়ীর ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা মাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার নিজ সন্তানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) পারভেজ এর স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মাকে পারভেজ ও তার স্ত্রী এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ওই নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে বড় ছেলে পারভেজের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মা নিলু বেগম (৬৫)।
প্রায় ৮ বছর পূর্বে নিলু বেগমের স্বামী আলী হোসেন মারা যান। তার স্বামী মারা যাবার পর থেকে তার মেজো ছেলে আক্তারের সাথেই তিনি বসবাস করে আসছেন।
অভিযুক্ত পারভেজের মা বলেন, বিভিন্ন অযুহাতে তার বড় ছেলে পারভেজ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতন করে। একাধিকবার তাকে মেরে আহত করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, তার চার সন্তানের মধ্যে পারভেজ বড়। পারভেজ এপর্যন্ত চারটি বিয়ে করেন। সর্বশেষ বউকে নিয়ে সংসার করলেও বাকি তিন স্ত্রীকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেন। তার দৃশ্যমান কোনো আয়ের এর উৎস না থাকলেও লালমোহন থানার সোর্স পরিচয়ে এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত বলে জানায় স্থানীয়রা।
পারভেজের ১০ বছরের ছেলে অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেন এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন। এখন আমাকে তার সন্তান হিসাবে মেনে নেয় না এবং আমাকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
পারভেজ এর বিরুদ্ধে তার মা থানায় একাধিক বার অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিচারহীনতায় ভুগছে এই নারী।
ছেলের অত্যাচার সইতে না পেরে গত মঙ্গলবার সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে লালমোহন থানায় পারভেজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৃদ্ধ মা।
তবে নিজের মায়ের উপর কোনো ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পারভেজ।
তিনি জানান, তার মা এবং সে আলাদা ঘরে বসবাস করে। বড় ছেলে হওয়ায় পরিবারের কারো সাথেই কোনো প্রকার সমস্যা হলেই সে দায় তার ওপর চাপানো হয় বলে পারভেজ জানান।
তবে বৃদ্ধ ওই নারীকে নির্যাতনের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন। তিনি আরো জানান, পারভেজ থানায় কোন সোর্স নেই। বৃদ্ধ মায়ের উপর নির্যাতনের বিষয়টি তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।