শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে চলে আসা পুরনো প্রথা ভেঙ্গে এবার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো হাসানুজ্জামান পিপিএম।
সোমবার (২১ মার্চ) পুলিশ সুপারের কার্যালয় মাঠে ডেকে দু’শতাধিক আবেদনকারিদের হাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন তিনি।
এসময় এসপি বলেন, সাধারণত চাকুরি বা উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমণের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এই সার্টিফিকেটে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনো ফৌজদারী অপরাধের রেকর্ড নেই – এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হয়।
রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ভালো-মন্দ সনদ পাওয়া নৈতিক অধিকার। এটি পেতে কোন পুলিশ সদস্য টাকা দাবি করলে কিংবা হয়রানী করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসপি আরও বলেন, কারো কোন অভিযোগ বা সহযোগীতা লাগলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার পর জেলার ৯টি থানায় গ্রাহকরা সরাসরি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের এই সেবা পাবেন বলেও উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
এদিকে, স্বল্প সময়ে ও খুব সহজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা আবেদনকারিরা।
চকরিয়ার হালকাকারা এলাকার এক আবেদনকারি নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমার বড় ভাই বিদেশ যাবার কালে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করে এখানে ওখানে দৌড়ে কাঠখড় পুড়িয়ে তা হাতে পেয়েছিলেন। আমার যাবার কথা যখন চলছিল তখন আমিও পুরোনো ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এগুচ্ছিলাম। এক দালালকেও হাত করেছিলাম কিন্তু এভাবে পুলিশ সুপার মহোদয় ডেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে তুলে দিবেন তা আগে বুঝতে পারিনি। এ ধারা চালু থাকলে বিদেশগামীরা সেবা পাবে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি আরও বাড়বে।
সূত্র জানায়, ৫০০ টাকা সরকারি ফি চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা হয়। সাধারণত চাকুরি বা উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমণের ক্ষেত্রে পুলিশক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এই সার্টিফিকেটে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনো ফৌজদারী অপরাধের রেকর্ড নেই – এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হয়।
স্ব স্ব থানা এলাকায় আবেদনকারির তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে তার ব্যাপারে সনদই হলো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। মামলায় অভিযুক্ত থাকলে তার তথ্যসহ দেয়া হয়। আগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে আবেদনকারিকে ২ থেকে ৫/৬ হাজার টাকা বিভিন্ন ভাবে হাতবদল করতে হত। পুলিশ সুপারের এ উদ্যোগে এ প্রথা ভাঙ্গলো বলে মনে করছেন সচেতন মহল।