পাঠকের ভালবাসাই একজন লেখকের প্রধান অনুপ্রেরণা। তাই পাঠকের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। লিখনি দিয়ে তাদের মনের কথাগুলো আমার কলমের কালিতে ফুটিয়ে তুলবো। বাংলাদেশ প্রতিবেদন এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তরুণ লেখক গবেষক ড. আ. ন. ম. এহছানুল মালিকী। সাক্ষাৎকারে বিশেষ অংশ তুলে ধরা হলো।
ছোট বেলা থেকেই পেপার, ম্যাগাজিনে লেখালেখির একটা অন্য রকম নেশা কাজ করতো। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে আমি সরকারি-বেসরিকারি অনেক পুরষ্কার অর্জন করেছি। আর বই পড়ার প্রতিও আমার অন্য রকম নেশা ছিল। খুব ইচ্ছে ছিল, নিজে একটা বই রচনা করবো, যা পাঠকেরা পড়বে ও আনন্দ উপভোগ করবে।
এই বছরে প্রকাশিত হয়েছে আমার দ্বিতীয় বই ‘শক্তমাংস’। যাতে বর্তমান সমাজের সুখ দু:খ হাসি কান্না ইত্যাদি নিয়ে আমি ১৫টি ছোটগল্প রচনা করেছি। আশা রাখি পাঠক একবার পড়লে পুরোটা শেষ না করে উঠবে না। মূলতঃ বাংলাদেশের সমাজ পেক্ষাপটের কথাই এতে তুলে ধরা হয়েছে।
আমার ৩য় বইটি হলো ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি’। আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে কম বেশি কিছু না কিছু জানি। কিন্তু যেই মানুষ তার ৫৫ বছরের জীবনে শুধু মাত্র গনতন্ত্র আদায়ের লক্ষে ১৪ বছর জেল খেটেছেন, যাতে তার পরিবারের লোকজনের কোনো অভিযোগ ছিল না। কথায় আছে বাপ কা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া, বাবা যেমন সন্তানরাও তেমনই হয়। এখানে আমি বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তার পরিবার স্বজনদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে নিয়ে এসেছি। যাতে তথ্য উপাত্ত ও কিছু দুর্লভ ছবি সংযুক্ত করেছি। আশা রাখি পাঠক তাদের চাহিদা মতো তথ্য পেয়ে মনের খোরাক পাবে।
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমি বাংলাদেশের বাস্তব সামাজিক বিষয়াবলি নিয়ে আরো লিখবো। যা পাঠক বুঝতে পারে কিন্তু অন্যকে শেয়ার করতে পারে না, আমি আমার লিখনি নিয়ে তাদের মনের কথাগুলো আমার কলমের কালিতে ফুটিয়ে তুলবো। পাঠকদের ভালোবাসা পেতে চাই। অনেক ভালোবাসা। পাঠকদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা নামি দামি গল্পকারের বই পড়বেন, সাথে করে আমাদের মতো এমন উদিয়মান গল্পকারের গল্পও পড়বেন। এতে করে আমরা ও আপনাদের জন্য লিখতে উৎসাহিত হবো।