আখাউড়ায় ইয়াবার চালানসহ গ্রেপ্তার ২।
মোবারক হোসেন জীবন/আখাউড়া(ব্রাক্ষণবাড়ীয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাক্ষণবাড়ীয়া আখাউড়ায় মাদকের সহজলভ্যতা,
হাত বাড়ালেই যেন সকল প্রকার মাদক পাওয়া যায়।প্রতিবেশী ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অবাধে ঢুকেছে মাদক তার ফলে যুব সমাজ আজ নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে মাদকের থাবায়।
পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের নির্দশে আখাউড়ার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান মাদক নির্মূলে ষ্ট্রাটেজিক অপারেশন পরিচালনা নিয়োজিত করেন আখাউড়া থানা পুলিশকে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাণঘাতি মাদক ইয়াবার একটি বড় চালান প্রতিবেশী ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নোয়ামুড়া গ্রামের একটি বাড়ীতে তথ্য আসে পুলিশের কাছে। বিকেলের মধ্যেই ইয়াবার এ চালান ডেলিভারি হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় দ্রুত তৎপর হয় পুলিশ । সংবাদের সত্যতা যাচাইকরে মাদক উদ্ধার অভিযান চালাতে নোয়ামুড়ার দিকে ছুটে যায় পুলিশের এ্যাপোলো ও জেমিনি টিম। অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই যুবক দৌঁড়ে বাড়ীর পেছনের দরজা দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকতে দেখে পুলিশও তাদের পিছু ধাওয়া করে ঘরে ঢুকে পড়ে। দুই যুবকের একজন বাছির মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া(২৬) দৌঁড়ে ঢুকে পড়ে তার শয়নকক্ষ সংলগ্ন টয়লেটে। একটি পলিথিন ভর্তি টয়লেটের কমোডের ভেতর ফেলতে দেখে পুলিশ হাতেনাতে সুমন’কে ধরে ফেলে। পুলিশের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পলিথিনের ভেতরে ছোট ছোট পলিপ্যাকে ইয়াবা ট্যাবলেট থাকার কথা স্বীকার করে সে। পুলিশ কমোড থেকে উদ্ধার করে ছোট ছোট পলিব্যাগে রক্ষিত ২২৭৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ভর্তি পলিথিন ব্যাগটি। এসময় সুমনের সহযোগী মোঃ হৃদয় ইসলাম সায়েম(২২)’কে ঘরের ভেতর থেকে পুলিশ আটক করে। সে একই গ্রামের ইমন মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের বাজার মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইয়াবার চালান টয়লেটের কমোডের ভেতর লুকাতে গিয়েও এবার কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সুমনের।
টিম এ্যাপোলোর নেতৃত্বে ছিলেন আখাউড়া থানার এসআই এরশাদ মিয়া ও এএসআই আলমগীর হোসেন এবং টিম জেমিনির দায়িত্বে ছিলেন এসআই নেয়ামুল হুসাইন।
অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মাদক নির্মূলে আখাউড়া থানা এলাকায় সম্প্রতি ষ্ট্রাটেজিক অপারেশন জোরদার করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় হাতেনাতে আটককৃত সুমন ও হৃদয় ইসলাম সায়েমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট এবং তারা কাদের সহযোগীতায় কিভাবে মাদকের কারবার করছে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক মাদক বিরোধী এ ষ্ট্রাটেজিক অপারেশন অব্যাহত থাকবে।