কটিয়াদীতে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের আর্থিক প্রণোদনা -২০২১ বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ।
মো:মোফাসসেল সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রণোদনা -২০২১ এর অনিয়মের অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় ৪৫জন খামারী।
খামারীদের পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ দিদার মিয়া ও সুভাশ চন্দ্র পাল।
তারা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন করোনা কালীন সময়ে ক্ষতি গ্রস্থ খামারীদের জন্যে প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত আর্থিক প্রণোদনা আমরা পাইনি।আমাদের ছবি,খামারের ছবি,গাভী গরুর ছবি,আইডি কার্ডের ফটোকপি, মোবাইল নম্বর নেওয়া সত্বেও আমাদেরকে কোনো আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়নি।
তারা আরও উল্লেখ করেন,আমার ইউনিয়ন সহ গোটা এলাকায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ওসমান গণি এবং ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের ফিল্ড এসিষ্ট্যান্ট জাহাঙ্গীর হোসেন গং এর যোগসাজসে এরকম অনিয়ম হয়েছে।
অফিসারের পছন্দের লোককে কন্ট্রাক বা কমিশন নিয়ে খামারী না হওয়া বা গরু না থাকা সত্বেও আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগপত্রের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে,
১। মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
২।পি.এস -১,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
৩। সংসদ সদস্য,কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী – কিশোরগঞ্জ)।
৪।মহাপরিচালক, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর।
৫।চেয়ারম্যান, দুদক,ঢাকা।
৬।পরিচালক,বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তর ঢাকা বিভাগ।
৭।জেলা প্রশাসক, কিশোরগঞ্জ।
৮। জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা,কিশোরগঞ্জ।
এ বিষয়ে কটিয়াদী উপজেলা ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি গণমাধ্যমকে জানান:
আমার জানা মতে, অনেক প্রকৃত খামারীরা এ আর্থিক প্রণোদনা পাইনি।আবার খামারী না হওয়া সত্বেও অনেক কৃষকরা এ প্রণোদনা পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম জানানঃএ বিষয়ে অধিদপ্তর কতৃক সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।