জয়পুরহাটে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা।
স্টাফ রিপোর্টার/(এস,এম,মিঠু):
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলাতে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় রাগ করে গলায় ফাঁস দিয়ে জোবায়েদ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
নিহত জোবায়েদ ক্ষেতলাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। সে
উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপি’র তালশন নয়াপাড়া গ্রামের আনতাজ আলী (৪৮) এর ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার তালশন নয়াপাড়া গ্রামের আনতাজ আলী এর প্রথম পুত্র সালাউদ্দিন হোসেন জোবায়েদ। গ্রাম সহ আশেপাশের সকল প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজনের নিকট খুব ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলো। সে এবার এস.এস.সি পরিক্ষা দিতো। কিছুদিন আগে থেকে তার পরিবারের নিকট একটি মোটরসাইকেল এর দাবি করে আসছিলো।
পরিবারের আর্থিক অনটনের কারনে তাকে কিছুদিন পর মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার আশ্বাস দেয় পরিবার। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে আবারও পরিবারের কাছে মোটরসাইকেল কিনে চাইলে পরিবারের লোকজন তাকে বলে বর্তমান চলতি মৌসুমের আলুর বাজার খুব একটা ভালো নয় কিছুদিন পরে মোটরসাইকেল কিনে দিবো।
এমতবস্থায় সে তার নিজ শয়ন কক্ষে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ঘুমায় আজ ১৩ (জানুয়ারী) রবিবার ভোর ৬.০০ ঘটিকার সময় তার মা তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে অনেক ডাকাডাকির পরেও কোন সারা শব্দ না পেলে জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখতে পায় তার ছেলে ঘরের তীরের সহিত গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। ছেলের এমন অবস্থা দেখে মায়ের চিৎকার চেচামেচিতে তার বাবা সহ স্থানীয়রা বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এমন ঘটনা দেখে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ কে খবর দেয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে তাদের অনুমতিক্রমে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে নিচে নামিয়ে দেখে সে মারা গেছে।
এ বিষয়ে তুলসীগঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হাইকুল ইসলাম লেবু মোল্লার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, জোবায়েদ বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে চেয়েছিলো কিন্তু পরিবারের অভাব অনটনের কারনে এই মূহুর্তে কিনে দিতে পারেনি পরে কিনে দিবে বলেছিলো এই বিষয় নিয়েই হয়তো অভিমান করে সে আত্নহত্যা করেছে। এছাড়া অন্য কোন ঝামেলা নেই।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ নিরেন্দ্রনাথ মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের কে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।