ভোলায় সন্ত্রাসী হামলায় মাছুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল হোসেন মনির গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভোলা পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে। হামলার শিকার ইসমাইল হোসেন মনির ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, ভোলা সদর থানার সভাপতি আমির হোসেন, সহকারি শিক্ষক কল্যাণ তহবিলের সভাপতি, জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনূছ শরীফ, বাংলাদেশ সরকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম, শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এমরান হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসমাইল হোসেন মনির দীর্ঘদিন ধরে ৪নং ওয়ার্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। শিক্ষক ইসমাইলের উদ্যোগে বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুমতিতে তাঁর এলাকায় বিদ্যুতের একটি খাম্বা স্থাপন করা হয়। পরে ট্রাক যাতায়াতে ওই খাম্ভাটি স্থানীয় প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেনের জমির দিকে বেঁকে গেলে বিষয়টি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
তবে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ওই খাম্বাটি সোজা করতে কালক্ষেপণ হওয়ায় প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর জামাই মুহাম্মদ ইউনূসের ছেলে আরিফ হোসেন ও প্রতিবেশী আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ আলীকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে মোহাম্মদ আলী ও আরিফ হোসেন ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশিও ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে শিক্ষক ইসমাইলের উপর অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।
হামলায় শিক্ষক ইসমাইল গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে একাধিক এলাকাবাসী জানান, সন্ত্রাসী আরিফ হোসেন ও মোহাম্মদ আলী ওই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কেউ তাদের ভয়ে মুখ খোলে না। এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর আশাদ হসেন জুম্মান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন এ বিষয়ে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।