জবিতে সশরীরে ক্লাস স্থগিত, নেওয়া যাবে লিখিত পরীক্ষা।
শেখ শাহরিয়ার হোসেন/জবি প্রতিনিধি:
করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ও করোনার বিস্তার রোধে দুই সপ্তাহের জন্য সকল স্কুল কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকলেও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে চলমান পরীক্ষার বিষয়ে ডিন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
তিনি আরো বলেন, আমরা গতকাল একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যেসকল ডিপার্টমেন্টে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে তাদের ক্লাসগুলো অনলাইনে আর বাকিরা আপাতত সশরীরে নেওয়ার। কিন্তু যেহেতু প্রজ্ঞাপন আসছে তাই এখন থেকে সকল ডিপার্টমেন্টের সব ক্লাস অনলাইনে হবে।
অবশিষ্ট সেমিস্টার পরীক্ষা কিভাবে নিবেন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের পরীক্ষা প্রায় শেষ, আর দু-একটা ডিপার্টমেন্টে হয়তোবা ব্যাবহারিক-ভাইভা বাকি আছে সেগুলো অনলাইনে নেওয়া যেতেই পারে। আর অবশিষ্ট লিখিত পরীক্ষাগুলো সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ডিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফলাইনে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে নিতে পারবেন।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক অংশ নিতে পারবে না। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিলাম। সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বজায় রেখেছিলাম। কিন্তু ইদানীং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহ স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য দেশের সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গেলো বছর ৭ অক্টোবর সশরীরে পরীক্ষার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছিল।