ইংরেজিতে মাস্টার্স, পেশা চুরি, ডিগ্রি দেখে হতবাক পুলিশ কর্তারা।
মাসুদূর রহমান: চোরের ডিগ্রি দেখে হতবাক দুঁদে পুলিশ কর্তারা। আর তার পেশা চুরি। চুরি করতে নাকি ভালো লাগে। তাই ছেড়েছেন চাকরিও। ইতিমধ্যে হাতও পাকিয়ে ফেলেছেন ‘মহাবিদ্যায়’। একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি। ধৃতের নাম সৌমাল্য চৌধুরী।বাড়ি আসানসোল এলাকায়। ধৃত যুবকের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের।
এমনই ‘বিদ্বান চোর’কে ধরে তাজ্জব পুলিশ।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিদ্যুত্ দফতরের এক কর্মীর একটি ফ্ল্যাট থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হন সৌমাল্য চৌধুরী। ঘাটালের কোন্নগর এলাকায় গত ৩ জানুয়ারি আবাসনের গেটের তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরি হয়। সেই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশু ভৌমিক -এর নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পাকড়াও করে চোরকে। সেই চোর পরিচয় দেখে চোখ কপালে পুলিশের। ধৃতকে সোমবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে।
এরপরেই ঘাটালের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘এমন অদ্ভুত শখ বা পেশা বেছে নেওয়া দেখে আমি তো অবাক। ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন উনি। গত বছর হাওড়ায় এক চুরির ঘটনায় ধরা পড়ার পর তাঁর চাকরি চলে যায়। ভদ্র পরিবারের ছেলে। ছেলে চোর হয়েছে জেনে মা আত্মহত্যা করেছেন। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’