কাপাসিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারধর, রক্তাক্ত নারী
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনায় সুলতানা বেগম (৬৫) নামে এক নারীকে হাত ভেঙ্গে, নাক ও মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা সহ পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে [ ৮ জানুয়ারি ] উপজেলার টোক ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় নিজ বাড়ীতে মারপিটের শিকার হন ওই ভুক্তভোগী সুলতানা বেগম ও তার পরিবার।
ঘটনার সময় ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মারপিট ঠেকাতে এলে [ফিরাতে গেলে] তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগির ছোট মেয়ে রুপালী আক্তার (২৬) বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে কাপাসিয়া থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, সুলতানপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর সন্তান জিয়াউর রহমান (৪০) তার ‘মা’ জুলেখা বেগম (৬৫), আব্দুল জব্বারের সন্তান দেলোয়ার হোসেন দিলু (৬০), তার স্ত্রী সাফিয়া (৫৫)।
অভিযোগে রুপালী বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শনিবার [৮ জানুয়ারি] বেলা দেড়টার দিকে উপরােক্ত বিবাদীরা তাহাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দা, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র ধারা এলোপাতাড়ি মারপিটে আমার ‘মা’ সুলতানা বেগম কে রক্তাক্ত ও বড় বোন রুবিনা খাতুনকে গুরুতর আহত করে। এসময় হামলাকারীদের একজন ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
রুপালী বলেন, আমার মা-বোনের ডাকচিৎকার শুনে আশপাশের লােকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভুক্তভোগির মেয়ে রুনা আক্তার ‘মা’ সুলতানা কে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুক্তভোগির অবস্থার অবনতি দেখে রেফার্ড করেন গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম আল-আমিন বাংলাদেশ প্রতিবেদন কে বলেন, আমি মসজিদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছি দিলু ও জিয়াউর তারা দুইজনে শরিফের আম্মা, বড়ো বোন ও খালাম্মা কে মেরে রক্তাক্ত করছে। তারা কেউ কিছু করেনি। রাকিব বলেন, আমি দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছি দিলু ও জিয়াউর শরিফের আম্মাকে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখেছে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয় লোকজন আসলে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার রিয়াজ উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিবেদন বলেন, ঘটনা সত্য। দিলু ও জিয়াউর খারাপ ও দুষ্কৃতী প্রকৃতির লোক। এদের বিরুদ্দে আরও অভিযোগ আছে।
টোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মাজাহার বাংলাদেশ প্রতিবেদন বলেন, মারপিটের ঘটনা সত্য, ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।