শ্রীবরদীতে নির্বাচনে অনিয়ম, ভোট পুনঃগণনার দাবি প্রার্থীর।
আর একবার ভোট গণনা করলেই জয়ী হব
চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমূল ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী জনাব মো: ফরিদ মিয়া ভোট গণনায় অনিয়ম এবং ভোট পুনঃ গণনার আবেদন দিয়ে একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর এ অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের বিলভরট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা (কাকিলাকুড়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক) জনাব আবদুল্লাহ আল জসিম এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দায়ের করেন। তিনি বলেন, “প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর দ্বারা অবৈধ ভাবে প্রভাবিত হন এবং আমার নির্বাচনী এজেন্টের কোন স্বাক্ষর না নিয়ে মনগড়া ভাবে ভোট গণনা করে উক্ত কেন্দ্রে ফল প্রকাশ না করে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদে এসে ফল প্রকাশ করে। আর এতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী এবং আমার ঘুরি মার্কা ভোট বেশি হলেও সমান সমান বলে ঘোষণা করে যাহা আদৌ সত্য নয়।” তিনি ভোট পুনঃ গণনার জোড় দাবি জানিয়ে আরো বলেন, ভোট পুনঃ গণনা করলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি ৭ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনঃ বার গণনা করা হোক।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক বলেন, “কোনো ভোট পুনঃগণনার কোনো নিয়ম নেই। কোনো কেন্দ্রে ভোট গণনায় অনিয়ম, দূর্নীতি বা কোনো ঝামেলা হলে; সেই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে নতুন ভাবে পুনঃ নির্বাচন দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, উক্ত কেন্দ্রের ফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগে সেই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জনাব আবদুল্লাহ আল জসিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগে ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন। পরে ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।