আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আবরারের মা-ভাই, চান দ্রুত রায় কার্যকর।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মা রোকেয়া খাতুন এবং ছোট ভাই আবরার ফায়াজ এবং পরিবারের সদ্যসরা।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতের রায় শোনার পরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন সন্তোষের কথা জানান। তিনি বলেন, সবে মাত্র রায় ঘোষণা করা হয়েছে, দ্রুত রায় কার্যকর করা হলে আবরারের আত্মা শান্তি পাবে এবং এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আর ঘটবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রত্যেক আসামির সবোর্চ্চ শাস্তি ফাঁসি। যে ২০ জনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এতে আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সেই সঙ্গে অমীত সাহার ফাঁসি চাই। যেদিন এ রায় কার্যকর হবে সেদিন আমরা ভাববো, আমরা বিচার পেয়েছি। বাসায় সে সময় আবারের মা রোকেয়া খাতুন ও ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ছাড়া প্রতিবেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এখনো আমরা রায় পুরোটা দেখিনি। সেটা পর্যালচনা করে পরে জানাতে পারবো যে এ রায় নিয়ে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ আমরা নিবো।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই এ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসি এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।