জাফর আলম, কক্সবাজার।।
গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহনের আগেই ইউনিয়ন পরিষদ দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হক। তিনি দায়িত্ব না নিয়েই নিজের মতো করে ইউপির কর্মকান্ড শুরু করেছে।
রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন নিয়ে ফলাফল বির্তকের মাঝেই উপজেলা থেকে ঘোষিত নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ ভবন দখলে নেয়া নিয়ে
এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, গেজেট প্রকাশ, শপথ গ্রহণ ও অফিসিয়াল আদেশ পাওয়া আগে ইউপিতে অফিস কার্যক্রম চালানো অবৈধ।
সদ্য সম্পন্ন রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়। নানান বির্তকের মাঝেই উপজেলা থেকে ঘোষিত নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হক ২৪ নভেম্বর বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন দখলে নেয়।
ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে লোকজন জড়ো করে বেসরকারী এনজিও হেলবেটাস এর মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতনের টাকা হস্তান্তর করে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হক।
এসময় ইউপি সচিব, বেসরকারী হেলবেটাসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।ফলাফল বির্তকের মাঝেই উপজেলা থেকে ঘোষিত নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ ভবন দখলে নেয়া নিয়ে
এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদের অনেক কর্মী সমর্থককে নারধরও করেছে বলে জানিয়েছে চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ।
ইউপি সচিব মুফিজুর রহমানে মুঠো ফোনে একাধিকবার রিং করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ব হয়নি।
এব্যাপারে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনয় চাকমার মুঠৌ ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখনো বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ দায়িত্বে আছেন।
তিনি বলেন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হক এখনো শপথ গ্রহণ হয়নি, গেজেট প্রকাশ হয়নি এবং দায়িত্ব হস্তান্তর, দায়িত্ব অর্পণ করা হয়নি। দায়িত্ব অর্পণ ও গ্রহণ সংক্রান্ত অফিস আদেশ পাওয়ার আগে ইউপিতে অফিসের কার্যক্রম চালানো সম্পুর্ন অবৈধ। আমি এব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।