শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সবচেয়ে অবহেলিত জনপদ ১নং ওয়ার্ডের ঈদমনী গ্রাম।
যেখানে দেখা যাচ্ছে খালের দুই পাড়ের বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাকো!
যা দিয়ে সহজে পার হওয়ার জন্য দুই পাড়ের মানুষ নিজেদের উদ্যোগে এই সাঁকো তৈরী করেছে।
শুষ্ক মৌসুমে শতশত মানুষের কোন রকম যাতায়ত সুবিধা হলেও বর্ষায় সাঁকোও থাকে না।
আজ পর্যন্ত বাঁশের সাঁকোটি স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধিদের চোখে পড়েনি!
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চলাচলে অসুবিধার সব দায়ভার তাদেরই।
সব দোষ এলাকাবাসীর। যেহেতু ভোটের সময় তাদের সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়। যোগ্য ও উপযুক্ত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে বার বার ব্যর্থ হয়েছে বলে তাদের এই দুর্দশা, এমন দুরবস্থা!
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে,
যেখানে কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের ফলে দেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে বাঁশের সাকো। হয়ত একদিন বাঁশের সাঁকোর এই ফটোগ্রাফিটা গ্রাম বাংলার ইতিহাসে রয়ে যাবে।
এ জাতিকে মনে করিয়ে দেবে তার হারানো ঐতিহ্য, হারোনো সভ্যতা, হারোনো দিন।
তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারহানা আফরিন মুন্না গণসংযোগ করতে গিয়ে ক্যামেরায় ধারণ করেছেন বাঁশের সাঁকোর দৃশ্য।
এলাকাবাসীর আশা, তারা এখন থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে আর ভুল করবেন না। নৌকা প্রতিকে ভোট দিবে, এবার তাদের দুঃখ গোছাবে নারী চেয়ারম্যান মুন্না।