শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।।
জাতির জনকের আর্দশিক সৈনিক, একজন সফল নেতা কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম। তৃণমুল থেকে বেড়ে ওঠা এই নেতার জীবনের সোনালী দিন গেছে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে তার ওপর। কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের সর্ব শ্রেণী পেশার মানুষের গুরু দায়িত্ব তার মাথার ওপর। তার ছোট ভাই, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মুর্শেদ আহমেদ বাবু গত ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান। ছোট ভাই বাবুর মৃত্যুর পরে আজ কাজী শামীম ওয়ার্ড বাসীকে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন। তার ছায়া তলে হাজার হাজার মুজিবপ্রেমী।
কাজী মোস্তাক আহমদ শামীমের দিন কেটেছে রাজপথে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। দলকে আকঁড়ে ধরে জীবন বাজি রেখে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। ছাত্রলীগ নেতা থেকে আজ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড লাইটহাউজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত কাজী তোফায়েল আহম্মদের বড় ছেলে কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম। যার পথচলা শুরু ছাত্র রাজনীতি দিয়ে। তুখোড় বক্তা ও রাজপথের মুজিব রণাঙ্গনের সাহসী বীর সেনানী তিনি। ছাত্র হিসেবে ছিলেন মেধাবী ও অসীম সাহসী।
১৯৮৬ সাল থেকে জেলা ছাত্র লীগ নেতা, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন নেতা এবং বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে ছিলেন তিনি।
বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭০ সালে কক্সবাজার শহরের ১২ নং ওয়ার্ড লাইটহাউস পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম কাজী তোফায়েল আহম্মদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন আমৃত্যু।
কাজী তোফায়েল আহম্মদ, তিনি ভোগের রাজনীতি করেননি, করেছে ত্যাগের রাজনীতি। সেই আর্দশিক মানুষের সন্তান কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম।
যিনি স্কুল জীবন, স্কুল গন্ডি পেরিয়ে কলেজ জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে রাজনৈতিক জীবনে তিনি বার বার মৌলবাদী, অপশক্তি,ও স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু রক্তচক্ষু কাজী মোস্তাক আহমদ শামীমকে তার আদর্শ ও সংগ্রামের পথ থেকে পিছু হটাতে পারেননি। কাজী মোস্তাক আহমদ শামীমের মধ্যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মেধার অপুর্ব সমন্বয় রয়েছে। তার সফল নেতৃত্বে নিজ এলাকায় আওয়ামী রাজনীতি আরও ঐক্যবদ্ধ।
কক্সবাজার জেলায় তিনি একজন তৃনমূল আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে সুপরিচিত।
তিনি তার বাবা কাজী তোফায়েল আহম্মদের কাছ থেকেই রাজনীতির হাতে কড়ি। স্কুল থেকে ছাত্রলীগ শুরু করেন।
বাবার কাছ থেকে রাজনীতি আর মানুষকে ভালোবাসার আর্দশ শিখেছেন। কক্সবাজার সরকারী কলেজে ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দেন তিনি।
১৯৮৬- ৮৭ সালে কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন।
ছাত্র জীবনে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন তুখোড় ছাত্র লীগ নেতা কাজী শামীম।
পরবর্তীতে তিনি কক্সবাজার পৌরসভা আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। শুধু জেলায় নয়, প্রবাস জীবনে ইতালী দেশের বাহিরেও রাজনীতিতে তার ছিল সমান বিচরন।
ইতালিতে প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে পুরো ইতালী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
প্রবাসীদের সংগঠন ইতালির বাংলাদেশ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসের নেতা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। ইতালিতে তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীর দায়িত্বে ছিলেন এবং বর্তমানে জেলা আওয়ামিলীগে শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার এমন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দেখলে সহজে বুঝা যায় তিনি কতটা তৃণমুল উঠে আসা আওয়ামীলীগের একজন পরীক্ষিত সৈনিক।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজ সেবা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডেও সমানভাবে জড়িত আছেন। তিনি এলাকায় একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। কটেজ মালিক সমিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি রাজনীতিকে পেশা হিসেবে না নিয়ে আদর্শ হিসেবে বুকে ধারন করেছেন। টাকার প্রতি কখনো তার লোভ ছিলনা সাদামাটা জীবনধারণে অব্যস্ত এই রাজনীতিবিদ কাজী শামীম কলেজ জীবন থেকে রাজনীতি করেছেন নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে। নিজ এলাকায় বহু স্কুল,মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্টায় সহায়তা করেছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে আছেন।
তিনি ইতালিতে প্রবাস জীবন থাকাকালিন সময়ে এলাকার মানুষকে তিনি ভুলেননি। প্রবাস থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য সাহায্য সহযোগীতায় পাঠাতেন। ঈদ ও কোরবানের সময় উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হত।
প্রবাস জীবন শেষে তিনি এলাকায় এসেও সাধারণ মানুষের সুখে, দুঃখে পাশে থেকেছেন। এখনও তিনি অব্যাহত রেখেছেন।
তৃণমুল নেতাকর্মীরা জানান, ১২ নং ওয়ার্ডের মানুষের জন্য এবং আওয়ামীলীগের বটবৃক্ষ। তৃণমুলের শেষ ঠিকানা তিনি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দলের দুঃসময়ে, নেতাকর্মীর বিপদে আপদে পাশে থেকেছেন।
বিদেশ থেকেও তিনি এলাকার মানুষকে ঈদ ও কোরবানের সময় বিভিন্ন ভাবে এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০২০ সালে করোনার প্রকোপ শুরু হলে সরকার ঘোষিত প্রথম লকড়াউনে যখন সবকিছু নিস্তব্ধ ঠিক ওই মুহূর্তে সরকারের নিয়ম কানুন মেনে এই হৃদয়বান ব্যক্তি কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম ঘরে বসে না থেকে নিজের অর্থায়ন থেকে যতটুকু সম্ভব দিন রাত প্রবল ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ১২নং ওয়ার্ডেবাসী ও নিজ এলাকার মানুষকে সচেতন করা, ঈদের সময় গরীব অসহায় দিনমজুর মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ,খাবার বিতরন, নগদ অর্থ প্রদান, নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ড়াল, মাছ, শাকসবজিসহ নানারকম মানবিক কার্যক্রম পালন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, ফাতের ঘোনা, বাঘঘোনা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সবার আগেই এগিয়ে যান কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম। তিনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষে পক্ষে প্রতিবাদ মুখর হয়ে তার নেতৃত্বে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। এলাকাবাসী এখনো তার সেই দিনের কথা ভুলে যাননি।
কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম বলেন, রাজনীতির শুরু থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে এক চুল পরিমান সরে আসিনি এবং বাকী জীবনও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে কাটিয়ে দিতে চাই ইনশাআল্লাহ।
এবারে কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন তিনি।
তার ছোট ভাই কাজী মুর্শেদ বাবু (১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) মৃত্যু জনিত কারণে এলাকার মানুষে ইচ্ছে ও আগ্রহের ভিত্তিতে এবং ভাই প্রয়াত কাউন্সিলর কাজী মুর্শেদ বাবুর অসম্পূর্ণ উন্নয়ন মুলক কাজগুলো সম্পন্ন করা জন্য তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।