শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক কায়ছারুল হক জুয়েল বলেছেন, আমি প্রার্থীর জন্য আপনাদের কাছে আসিনি, আমি এসেছি আমার ভাইয়ের জন্য ভোট চাইতে, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম আমার ভাই। আমার বাবা আর তার বাবাও ধর্মের ভাই ছিলেন। আর্দশও এক ছিল। আমৃত্যু তাদের সেই সম্পর্ক অটুট ছিলেন। কাজী পরিবার আর আমার পরিবার এক ও অভিন্ন।
আমার ভাই কাজী শামীমকে আপনারা পাঞ্জাবী মার্কায় ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করার সুযোগ দিন। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
তিনি বলেন, এই ওয়ার্ডবাসীর ভোট কাজী পরিবারের হক। প্রয়াত কাজী মোর্শেদ আহমেদ বাবু এলাকায় অনেক উন্নয়ন করে গেছেন, অনেক কাজ বাকী আছে। তিনি এতোদিন জীবিত থাকলে অসমাপ্ত কাজগুলো করে যেতে পারতেন। তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে নেই, তাকে আমরা অকালে হারিয়েছি।
তাই এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে পাশে থাকা কাজী পরিবারটির পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কাজী পরিবারের সাথে যারা বেঈমানী করতেছে তাদেরকে ভবিষ্যতে চিনে রাখুন। তাদেরকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার ঘোষনাও দেন তিনি।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে বৃহত্তর লাইট হাউজ পাড়ার এলাকাবাসীর উদ্যোগে
কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম এর পাঞ্জাবী মার্কার সমর্থনে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
২১ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় লাইট হাউজ পাড়া খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভাটি জনসভায় পরিণত হয়।
কাজী পরিবারের প্রতি মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসাই তার প্রমাণ করে উপনির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম জয় হবেন।
লাইট হাউসপাড়া সমাজ ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রিয়াজুদ্দিন মনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল
আরও বলেন, যারা ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আশা করছেন, তাদের সেই আশা কখনো পূরণ হবে না। ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে সার্বক্ষণিক আমি কেন্দ্রে উপস্থিত থাকব। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং কাজী পরিবারের হক ভোটটি পাঞ্জাবী মার্কায় দিবেন। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, লাইটহাউস পড়া সমাজ ও মসজিদ কমিটি রাশেদুল ইসলাম ডালিম, সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল লাইট হাউজ হযরত আলী জামে মসজিদ ও সমাজ কমিটির সভাপতি আমির হোসেন সওদাগর, সৈকত পাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি সরাফত উল্লাহ বাবুল, এলাকার মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন সিদ্দিকী, সৈকতপাড়া সমাজ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন,
প্রয়াত কাউন্সিলর কাজী মুর্শেদ বাবুর ছোট ভাই তারুণ্যে প্রতীক কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল, কটেজ ব্যবসায়ী নুরুল হুদা, মৌলভী এয়াকুব, আবদুল গফুর, মো. সেলিমসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়ী প্রার্থী শাহজাহান সিদ্দিকী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক নেতা ও মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন হাজারী, কটেজ ব্যবসায়ী খোরশেদ আলন, মো.সোহেল প্রমূখ।
১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম বলেন, আমি এলাকার কি কি উন্নয়ন করব সেবিষয়ে এখন কিছু বলবনা। আমি কাজেই বিশ্বাসী, আমি কাজেই প্রমাণ করে দেব ইনশে আল্লাহ।
কাজী শামীম জনতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আমি তৃণমুল থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগ কর্মী।
আমার প্রয়াত পিতা কাজী তোফায়েল আহম্মদও বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তিনি কখনো ভোগের রাজনীতি করেননি, ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন আমৃত্যু। আমিও আমার বাবার আর্দশিক সন্তান। আমি মানুষের পাশে থাকতে ভালোবাসি। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিন। চেষ্টা করব আপনাদের পাশে থাকতে। কথা দিলাম।
তিনি বলেন, কাজী পরিবারের প্রতি আপনাদের অকুন্ঠ ভালোবাসার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম।
নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রয়াত কাউন্সিলর কাজী মোর্শেদ আহমদ বাবুর দুই কন্যা, দুই ছেলে, শিশু সন্তান, স্ত্রী ও শ্বশরসহ অন্যান্যরা কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম এর জন্য পাঞ্জাবী মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
এসময় প্রয়াত বাবুর সন্তানদের আবেগ জড়িত প্রার্থনা সবাইকে শোকাভিভূত করেন।অনেকে নিরবে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
এরআগে ফাতের ঘোনা, বাঘঘোনা,সাত্তার ঘোনা,লাইটহাউস পাড়া, সৈকতপাড়াসহ আশপাশ এলাকার শতশত নারী পুরুষ পৃথক পৃথক মিছিল সহকারে সভাস্থলে যোগ দেন।