হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচে দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক।
মঙ্গলবারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তাই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে নামেননি তিনি।
এর আগে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা ম্যাচের আগে দেয়া একটি নিদের্শনায় বলেছিল যে ক্রিকেটারদের জন্য হাঁটু গেড়ে প্রতীকী প্রতিবাদে অংশ নেয়া অপরিহার্য।
দুবাইয়ের মাঠে টসের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেছেন যে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ ডি কক এই ম্যাচ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
পরে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে তারা হাঁটু গেড়ে না বসার ব্যাপারে কুইন্টন ডি ককের “ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়টি খেয়াল” করেছে।
খেলা চলার সময়ে দেয়া এই বিবৃতিতে সিএসএ আরও বলেছে, তারা “পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে একটি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবে”।
হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচিতে অংশ নিতে এর আগেও ডি কক অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
গত জুনে মাসে তিনি বলেন, “আমার কারণ? এটা আমি নিজের কাছেই রাখবো। এটা আমার নিজের, ব্যক্তিগত অভিমত।”
“এটা সবার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কেউ কাউকে জীবনে কোন বিষয়ে জোর করতে পারে না। আমি এভাবেই দেখি ব্যাপারটাকে।”
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা বিবৃতি বলছে, “বিশ্বকাপের বাকি সময় প্রত্যেক ক্রিকেটার এই নির্দেশনা মেনে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
“খেলোয়াড়দের বেছে নেয়ার স্বাধীনতা-সহ প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনা করে বোর্ড এটা স্পষ্ট করেছে যে এটা দেখানো অপরিহার্য টিমের সবাই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস বিবেচনায় নিয়ে।”
গত বছর নভেম্বর মাসে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা বলেছিল যে সামাজিক সমতার প্রতি নিজের সমর্থনের বিষয়টি প্রদর্শন করতে ক্রিকেটারদের জন্য তিনটি বিকল্প রয়েছে – হাঁটু গেড়ে বসা, হাতমুঠো করে ওপরে তোলা অথবা অ্যাটেনশন হয়ে দাঁড়ানো।
জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সহমর্মিতা প্রকাশ করার সময়ে ডি কক দুই হাত পিছনে রেখে দাঁড়িয়েছিলেন।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু ক্রিকেটার হাঁটু গেড়ে সংহতি জানিয়েছেন, তবে সবাই নয়। ওই ম্যাচে ডি কক সাত রান করেছিলেন।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার মঙ্গলবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে টিমের সবার ‘একাত্ম ও ধারাবাহিক অবস্থান’ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
“ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে টিমের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ভঙ্গি করছেন যা এর প্রতি সমর্থনের অভাব রয়েছে বলে ধারনা তৈরি করছে এবং এ ব্যাপারে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।”