‘দূরন্ত’ সেই ছাত্রটি আজ দেশের মন্ত্রী!
ছাত্রকে আর্শিবাদ করছেন শিক্ষক। তাঁর সেই দূরন্ত ছাত্র এখন সরকারের প্রতিমন্ত্রী। আর সেই শিক্ষার্থী যদি সরকারি সফরে শিক্ষকের বাড়ির আঙিনায় কাছে আসে তখন শিক্ষককের সাথে সাক্ষাৎ না করা পর্যন্ত ছাত্রের সফরের পরিপূর্ণতাও আসে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হল-
বলছি, আমার স্কুল শিক্ষক শ্রদ্ধেয় বনমালী পালের কথা। আমার শৈশব, কৈশোর কেটেছে বিভাগীয় শহর রংপুরে।
১৯৭৩ সালের কথা। আমি তখন রবার্টসনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী। স্যার আমাদের পড়াতেন ইংরেজি।
ছাত্র হিসেবে আমি ছিলাম বেজায় ডানপিটে। কেবলমাত্র ডানপিটে স্বভাবের কারণেই যে স্যারের হাতে যে কত পিটুনি খেয়েছি তার কোন হিসেব নেই।
আমার সেই প্রাণের শিক্ষকদের শাসনেই আজ আমি আপনাদের প্রিয় ডা. এনাম।
নানান ব্যস্ততার মাঝেও আমি চেষ্টা করি আমার সেই প্রিয় শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে। স্যারদের নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়াটা আমার রুটিন কাজ। তাঁদের চিকিৎসা থেকে নানান প্রয়োজনে যখনই পাশে থাকার সুযোগ পাই তখন ছাত্র হিসেবে নিজেকে সার্থক এবং গর্বিত মনে হয়।
সৌভাগ্য নিজের জীবদ্দশায় প্রিয় শিক্ষকদের আশীর্বাদের ছায়া এখনো ঘিরে রেখেছে আমাকে।
বনমালী পাল স্যার রবার্টসনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে নিয়েছেন সেই ২০০৫ সালে। তারপর ও অবসর আসেনি জীবনে।
স্থানীয় মুসলিম উদ্দিন কিন্টারগার্টেনের অধ্যক্ষ হিসেবে এখনো শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে চলেছেন রংপুরকে।
স্যারের জন্য পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।