তিতাসে ১৬ পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু।
মোঃ জুয়েল রানা/তিতাসঃ
সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গোৎসব সোমবার (১১ অক্টোবর) মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার তিতাসে ১৬টি পূজা মন্ডপে পাঁচদিন ব্যাপী শারদীয় দূর্গাপূজার সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর আনুষ্ঠানিকতা কিছু কম হলেও এ বছর করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। আর দূর্গোৎসবকে আনন্দমুখর করে তুলতে রাঙামাটি বিভিন্ন পূজা মন্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। তার মধ্যে আলোকসজ্জা ও প্রতিমা দিয়ে নজর কেড়েছেন উপজেলার ৫নং কলাকান্দি ইউনিয়নর মাছিমপুর গ্রামের হারাধন রায় এর বাড়ির পূজামণ্ডপ।
আগামী ১২ অক্টোবর মহা সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর মহা অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর মহা নবমী এবং ১৫ অক্টোবর মহা দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন সম্প্রদায়ের এই শারদোৎসবের।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, তিতাসে শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দূর্গোৎসব পালন করা লক্ষে আমাদের মোবাইল টিম কাজ করছে ও গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে পুলিশের স্থায়ী ডিউটি ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। আশা করি সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হবে।