বেড়া প্রেসক্লাব সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা।
বাকী বিল্লাহ: (সাঁথিয়া-বেড়া) পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার বেড়া প্রেসক্লাব সভাপতি শফিউল আজমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল পাবনার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন”।
“শফিউল আজম দৈনিক নয়া দিগন্তের বেড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও পাবনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইছামতি পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে রয়েছেন। মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাবনার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। তারা হলেন- পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নুল আবেদিন রানা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, বেড়া প্রেসক্লাবের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মহসীন মল্লিক, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম পাবনা শাখার সভাপতি ডা. আব্দুস সালাম”।
“যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকরা আরও বলেন, পাবনার বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আবদুস সালামের শাস্তিমূলক বদলি নিয়ে শিক্ষা প্রশাসন’সহ প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কাজ না দেখে অবৈধ ভাবে স্কুলের স্লিপ ও সংস্কারের টাকা একসঙ্গে ছাড় করানোর দাবি মেনে না নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ আনেন শিক্ষকরা”।
“এদিকে শিক্ষক সমিতি নেতাদের অভিযোগে তদন্ত ছাড়াই শাস্তিমূলক বদলির ঘটনায় জেলার শিক্ষা প্রশাসন’সহ সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়”।
“শিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা এ ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, যেখানে ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজই হয়নি সেখানে সরকারি বিধানে বিল পরিশোধের কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি বিধান পালন করতে গিয়ে শাস্তিমূলক বদলি শিকার হয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। শিক্ষক সমিতির নেতারা সিন্ডিকেট করে জেলার স্লিপ কর্মসূচির মালামাল সরবরাহের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করায় এ সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে”।
“জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলার ১১২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০০টির বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনে শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রভাব খাটিয়ে অতি নিম্নমানের মেশিন লাগিয়ে ২৫ হাজার টাকা করে মূল্য পরিশোধ করে। অথচ এসব মেশিনের সর্বোচ্চ দাম পাঁচ হাজার টাকা। এসব মেশিন এখন অকেজো হয়ে পড়েছে। নিম্নমানের এ মেশিন দিয়ে অন্তত ২০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা হয়। তবে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়েরের বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতারা”।
“পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলাটি প্রত্যাহার না হলে জেলার সকল সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে”।