কর্মস্থলে থাকেন না তাহিরপুরের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজান
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধে অফিস বন্ধ থাকলেও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সকল কর্মকর্তাগন সরকারী নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করছেন। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সরকারের নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এছাড়াও বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও চলতি বছরের মে থেকে জুলাই এই ৩মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতি মাসে একবার করে অফিসে এসে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক শিক্ষক।
অনুসন্ধানে ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাগন জানান,আমরা বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে অনগ্রসর হাওরবাসীর মধ্যে সচেতন করতে কাজ করতে গিয়ে ইউএনও,এসিল্যান্ড,ইউএইচএফপিও,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা হিমসিম খাচ্ছেন। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আজও পাইনি। আর ইদুল আযহায় যারা ছুটিতে গিয়েছেন তারাও এসেছেন। ঈদের ছুটির শেষ হলেও তিনি আজও যোগদান করেন নি। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একাধিক কর্মকর্তা জানান,বর্তমান মহামারি করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মস্থলে রয়েছি আর ঈদ পালন করেছি। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে বিগত কয়েক মাসের মধ্যে কর্মস্থলে দেখা যায় নি।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছির আলম সুবল জানান,লকডাউনের মধ্যে অফিসিয়ালি কাজ নেই। অনুপস্থিত থাকলেও আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। কারন আমাদের শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাজ বা বেতন বিলের সময় তিনি এসে স্বাক্ষর করে যান।
বড়দল মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন,পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমাদের শিক্ষকদের বেতন ও ঈদ বোনাস তুলতে স্যারের স্বাক্ষর না থাকায় সমস্যা হয়েছে। মাধ্যমিক স্যার উপস্থিত না থাকায় পরে মুঠোফোনে সোনালি ব্যাংক ব্যাবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলে বেতন বিলের ব্যাবস্থা হয়েছে।
৩ মাস অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসছি। তবে শনিবার দিন সকালেই আমি অফিস করব।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রায়হান কবির জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা হয়েছে। আমি আগামীকালের মধ্যেই তাকে কর্মস্থলে আসার নির্দেশ দিয়েছি। এখন যদি কর্মস্থলে না আসে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বর্তমান কঠিন সময়ে আমরা সরকারি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ আন্তরিক আর দায়িত্বশীল থেকে কাজ করছি।