ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাইক্রোবাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা , প্রাণ ঝরল শিশুর।
মো:আশরাফুল আলম আসিফ
আখাউড়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়াপ্রতিনিধি :-
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা নামক স্থানে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ইভা আক্তার (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহত ইভা নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে। জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে তার লাশ রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আরো অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পারুল (২৮), রিনা (২৭), তাহমিনা (৩২), নিহত ইভার মা ইয়াছমিন (২৮), তরিকুল (২৮), সিরাজ (৩২), রাজেশ (৩৪), ও শারমিনকে (২৬) উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া নিহত ইভার বাবা ইব্রাহীমসহ (৩২) আরও কয়েকজনকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রামের গার্মেন্টে কাজে যোগ দিতে নেত্রকোনা থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন তারা। তাদের সকলেই নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার আজ রাত ৮টার দিকে নেত্রকোনা থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কসবা এলাকায় মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা খায়। এ সময় মাইক্রোবাসটিতে থাকা ১৩ জন আহত হন। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টের অপারেটর ও হেলপার এবং তাদের পরিবারের সদস্য। ঈদের ছুটি কাটিয়ে চাকরি বাঁচাতে লকডাউনকে উপেক্ষা করে রাতের আধারে তারা কর্মস্থল চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোলায়মান মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়। আহত অন্যদের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইয়াছমিন নামে এক নারীর অবস্থা গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা আছে।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা জানান, খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে।