বিশেষ প্রতিবেদক , কক্সবাজার।।
কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জুমপাড়া গ্রামে বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলের পানি ও এলাকায় জমাট বৃষ্টি পানি চলাচলের একমাত্র ছরা বা (নালা), স্থানীয় ভাষায় মরিচ্যা ছরা দখলের অভিযোগ উঠেছে এক সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মাষ্টার মোজাম্মেল হক নামে এই শিক্ষক বছরের পর বছর ছরাটি দখল করতে ছরার নিচের পাশে প্রায় সময় বাশেঁর ছারা রোপন করত এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। এভাবে এই স্কুল শিক্ষক সরকারি ছরাটির প্রায় ৩০ ফুট জায়গা দখলে নেয় এমন অভিযোগ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের।
সূত্রে জানা যায় ছরাটিতে পানি চলাচলের রাস্তা যতটুকু ছিল তার মধ্যেও মাষ্টার মোজাম্মেল তার সীমানা বলে ছরার মধ্যখানে স্টীলের জালের বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি স্থাপন করে। পাহাড়ি প্রচন্ড ঢলে তার জাল ও খুঁটি মাঠিতে পড়ে গেলে মাষ্টার মোজাম্মেল ক্ষুদ্ধ হয়ে জুমপাড়ার এলাকার মানুষরা তার জাল ও খুঁটি ভেঙেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে ভোক্তভোগী শামশু উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ মাষ্টার মোজাম্মেল সম্পুর্ণ অন্যায় ভাবে আমরা তার জাল ও খুঁটি গুলো ভেঙ্গেছি বলে মিথ্যা অভিযোগ করে।
পরে তারা আমাদের পরামর্শ দেয় যে টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে একটা অভিযোগ করতে। ইতি মধ্যে আমরা টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের কে এই ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বাহারছড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভি আজিজ উদ্দীন ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম বলেন আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম যে ছরাতে মাষ্টার মোজাম্মেল যে জাল ও খুঁটি স্থাপন করেছে তা অন্যায়। এতে পাহাড়ি ঢল সহ এলাকার জমাট পানি চলাচল ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হবে।
অন্যদিকে এই বিষয়ে নবাগত টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী কে অভিহিত করলে তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। আর এই ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে তার মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করাতে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি