শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।।
কক্সবাজার জেলায় অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার ৪১ টি ইউনিয়নের ৪১৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
জেলায় পানিবন্দী ও পাহাড়ে বসবাসরত ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। ২৮ জুলাই রাত পর্যন্ত ৭০৬৫টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে । দিনে ও রাতে এসব পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস গত ২৭ জুলাই থেকে টেকনাফ উপজেলায় বৃষ্টি ৩২৮ মিমি, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১৫, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১২৫, মহেশখালী উপজেলায় ১৩২ মিমি বৃষ্টির রেকর্ড করেছে।২৮ জুলাই সারাদিন হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, গত তিনদিনে জেলায় মাটির ঘরের দেয়াল চাপা ও পাহাড় ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে ১৪ নারী, পুরুষ ও শিশুর। নিহতদের মধ্যে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ জন, টেকনাফে একই পরিবারে ৫ জনসহ ৬ জন, মহেশখালীতে ২ জন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ঈদগাঁওতে মাছ ধরতে গিয়ে এবং স্রোতের টানে ৭ জন নিখোঁজ হয়। ডুবুরিরা তৎপরতা চালিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও জীবিত ভেসে এসেছে ২ জন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলায় বন্যা কবলিত এলাকাগুলো ইতোমধ্যে ১৫০ মেট্রি টন চাল ও ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, জেলায় পানিবন্দী ও পাহাড়ে বসবাসরত ঝুঁকিতে থাকা ৭০৬৫টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় আনা হয়েছে । এই সব পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
বন্যা ও দূর্যোগ মোকাবেলায়
৮ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা সদস্যরাও বিপন্ন মানুষকে সহযোগিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি দেখার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কক্সবাজারে অবস্থান করছেন এবং প্রশাসনকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন।