১ম টি টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ।
কওনক আহম্মেদ উৎস/কান্ট্রি ইনচার্জ
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর রেগিস চাকাভার ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ে। আরেক ওপেনার ওয়েসলে মাধেরেভে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ডিওন মায়ার্স ক্রিজে এসে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। এরপর চাকাভা ২২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ রান এবং মায়ার্স ২টি চারের সহায়তায় ২২ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। এরপর চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। চাকাভাবে দুর্দান্ত রান আউটে আউট করেন সাড়ে চার বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।
শরিফুল ইসলাম জোড়া উইকেট শিকারের পর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও শিকার করেন দুই উইকেট। ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে রায়ান বার্ল আউট হন বদলি ফিল্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারির অবিশ্বাস্য ক্যাচে।
শেষপর্যন্ত ১ ওভার বাকি থাকতেই ১৫২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি এবং শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাইমের দুর্দান্ত ব্যাটে ওপেনিং জুটিতেই আসে ১০২ রান! ৪ চার ও ২ ছক্কায় সৌম্য সরকার ৫০ রান করে রান আউট হয়ে ফিরলে আরেকপ্রান্তে ফিফটি তুলে নেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফিফটি তুলে নেন নাইম। ৪০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর দলীয় ১২৩ রানে ২ বলে ১৫ রানে রান আউটের শিকার হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। শেষদিকে জিম্বাবুয়ে প্রতিরোধ গড়তে চেষ্টা করলেও নাইম শেখ ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সাত বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।
নাইম শেখ ৫১ বলে ৬৬ ও নুরুল হাসান সোহান ৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজে ১ম টি-টোয়েন্টির জয়ে ১-০তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।