বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম বলেছেন, শেয়ারবাজার বন্ধ থাকলে প্রচুর লোকের জীবিকায় ক্ষতি হবে এই মার্কেট এখন এতো লোকের রুটি-রুজির সাথে জড়িত, আমরা যদি বন্ধ করে দেই, তাহলে প্রচুর লোকের জীবিকায় ক্ষতি হবে। মার্কেটটা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পিছনে চলে যাবে। বন্ধ করে দিয়ে আমরা সমস্যার সমাধান করতে পারছি না। কারণ সংবাদপত্রে যা পড়ি বা দেখি, খুব সহজে করোনার সমস্যা সমাধান হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
৪ এপ্রিল ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) ও সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ওয়ার্কশপ অন ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস’নাম এক প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমি কোভিডের মধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছি। কোভিড থেকে বের হতে না হতে আরেকটা কোভিডে পড়ে গেলাম। আমি কোনভাবেই একটি সুস্থ অর্থনীতি পাচ্ছি না কাজ করার জন্য। সুস্থতা কখন আসবে জানি না। এর মধ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অর্থনীতি যখন চলে পৃথিবীর কোথাও ক্যাপিটাল মার্কেট বন্ধ থাকে না। আমরা তো বিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারি না। সব জায়গায় যেরকম আমাদেরও সেরকম হতে হবে। আমরা যেহেতু ডিজিটাল প্লাটফর্ম করে ফেলেছি, আশা করি ঘরে বসে হলেও ডিজিটালি কাজ করতে পারব। টেলিফোনে কাজ করতে পারব, মোবাইলে কাজ করতে পারব। আমরা বন্ধ করব না।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ইচ্ছা করলে কোভিডের দোহাই দিয়ে বাসায় বসে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারি। কিন্তু সেটা আমরা করছি না। ফাইট করে যাচ্ছি, চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। আজকে আমরা ব্যাংকিং আওয়ার দেখব, ব্যাংকিং আওয়ার দেখে ট্রেডিং আওয়ার ফিক্সড করব। এটা কিন্তু খুব সহজ কাজ না, এটার বিরুদ্ধেও কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু আমরা ইকোনোমির সাথে থাকতে চাই। ব্যাংকিং আওয়ার যদি ছোট হয়, আমরাও ছোট করব। ব্যাংকিং আওয়ার নরমাল হলে আমরাও নরমাল রাখব।
তিনি বলেন, আজকে দেখলাম অ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা নিয়ে ত্রিশজনের শরীরে রক্ত জমে গেছে। এরকম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খবর আসছে। আবার ভ্যাকসিন নিয়েও মানুষের করোনা হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষন কয়েক বছরের মধ্যে এর কোনো সমাধান দেখতে পাচ্ছি না।
তাহলে আমরা যদি কয়েক বছর ঘরে বসে থাকি, তাহলে কি হবে। তাহলে মানুষের অর্থনীতির যে ব্যবস্থাপনা বা মানুষের রুটি-রুজি বা জীবিকা সেটার কি হবে। সরকার দেখেন কলকারখানা সব খোলা রেখেছে, কৃষি কাজও চলছে, যাতে উৎপাদনে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উৎপাদন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, তাহলে দেশের উন্নয়ন সব স্থবির হয়ে যাবে এবং আমরা সমনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব না।