সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশী কমিউনিটি, তাতে বাংলাদেশী পন্যের চাহিদাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে; এ সম্ভাবনাকে পুজি করে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা করছেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা । আর তাদের সংগঠিত করতে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কা্উন্সিল। মূলত অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের প্রসার ঘটানোর নেপথ্যে ভূমিকা এবং সেই ক্ষেত্রে নতুনদেরকে ব্যবহারিক সহায়তা দিতে প্রতিশুতিবদ্ধ এবিবিসি পরিবার।
আর এই লক্ষকে তরান্বিত করতে ২০ মার্চ, শনিবার, সিডনির ওয়ালি ক্রিকে সংগঠনটির ১৩ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ২ বছরের মেয়াদী একটি নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করা হয়।
কার্যনির্বাহী কমিটিতে নেতৃত্ব পান আসিফ কাওনাইন (সভাপতি), মোঃ আরিফুল হক সরকার (সাধারন সম্পাদক)।অন্যান্য পদে আছেন আবদুল হক ও মোঃ আবু শাহাদাত সরকার (সহ সভাপতি), মোতাসিম বিল্লাহ ও জাহাঙ্গীর আলম (সহ-সাধারণ সম্পাদক), মোহাম্মদ হোসেন (কোষাধ্যক্ষ) ।সদস্য হিসেব তালিকাভুক্ত হয়েছেন সাজেদা আক্তার, রহমতউল্লাহ, লিটন বাউল, অ্যালেক্সান্ডার জন এক্সেনস, রাশেদ খান, মোঃ শাহিনুল ইসলাম, তোহা মোহাম্মদ ও আলাসদাইর দউগাল ।
সংগঠনঠির পক্ষে নির্বচিত সাধারন সম্পাদক মো:আরিফুল ইসলাম ( শাহিন) বলেন, “ আমরা বাংলাদেশী উদ্যোক্তারদের নিয়ে কাজ করছি। অস্ট্রেলিয়া একটি ব্যবসা বান্ধব দেশ, এসুযোগকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হবে, কি কি ডকুমেন্টস লাগবে, কেমন বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে, এ ধরণের সকল সহয়তা দিতে কাজ করছে আমাদের অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি।”
কভিড পরিস্থিতি অনূকুলে এলে শীঘ্রই একটি ট্রেড-শোর আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। জানা যায়, দেশীয় সম্ভাবনাময় চামাড়া, বস্ত্র, খাদ্যজাত, বোনা কাপড়, নিটওয়্যার, পাদুকা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মাছ, প্লাস্টিক পণ্যসহ আরো বিবিধ পন্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে এতে। তাছাড়া দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সরকারের মধ্যে সেতু বন্ধন হয়ে কাজ করতে প্রয়াস রাখবে সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ – অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক (২০১৭) পরিসংখ্যান অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ রফতানি করে ৬৫২.৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা পরিবর্তী বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।