ইতিমধ্যে এশিয়াটিকের তিন কর্মীর মৃত্যুর কথা সবাই জেনেছেন। এছাড়া মৃত্যু যন্ত্রণায় আইসিউতে কাতরাচ্ছে দুই জন। তাদের জ্ঞান ফিরেনি এখনো। বিষয়টি নিয়ে এশিয়াটিকের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। এরকমই একটি ফেসবুক পোস্ট নজরে এসেছে। ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রদানকারীর নাম উল্লেখ না করেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
মৃত্যু শিহাব, কায়সার ও শরীফ। আর আইসিউতে আছেন রাজিউর ও আকরাম। তাদের মৃত্যুতে এশিয়াটিক কী দায় এড়াতে পারে।
গাজীপুরের সা’রা রিসোর্টে এশিয়াটিকের অফিসিয়াল ট্যুর ছিল। যেটা প্রতিবছরই হয়ে থাকে। এবারও সেভাবেই করেছে। কিন্তু এশিয়াটিক বলছে এটা তাদের কর্মীদের নিজস্ব ট্যুর ছিল। কিন্তু ট্যুরের ব্যানারে সবকিছুতেই এশিয়াটিকের লোগো রয়েছে।
কর্মীরা নিজেরা প্রতিবছরের ন্যায় আমোদ ফুর্তি করে মদ্য পান করে। এবছরও করেছে। তো কেনো বিষাক্ত মদ পান করেছে। করোনার কারণে বিদেশি মদের চালান কম থাকায় দেশি কোম্পানিগুলো ভ্যাজাল মদে ওই স্থানটা দখল করেছে। আর তারা সেটাই পান করেছে। তবে সমস্যাটা হল অতিরিক্ত মদ্যপান। আর বড় কালপ্রিট (দোষী) হচ্ছে সিইও ইকরাম মঈন। তিনি প্রত্যেকটা ছেলেকে অতিরিক্ত মধ্য পান করাতে বাধ্য করেছেন৷ এছাড়া যদি ওরা করতে না চায় মুখে পর্যন্ত ঢেলে দিয়েছে।
কিন্তু নিজে সম্পূর্ণ বিপরীত। কর্মীরা যে মদ পান করেছেন তিনি সেটি পান করেননি। তিনি আলাদাভাবে বিদেশি মদই আনিয়ে পান করেছেন।
কর্মীরা গাজীপুর থেকে ফিরতেই উত্তরা এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর অধিকাংশ অসুস্থ হন বাসায় এসে ওই রাতে। তাই একেক হাসপাতালে ভর্তি হন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলেন সিইও ইকরাম মঈন। শিহাব, কায়সারদের ভর্তি করতে হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আর মঈন ভর্তি হন ইউনাইটেডে।
ইকরাম মঈনের ইউনাইটেডে ভর্তি কর্মীদের সঙ্গে ভেল্কিবাজি। সূত্রমতে তিনি আদৌ অসুস্থ নন। তিনি বাঁচার জন্যই ইউনাইটেড ভর্তি হয়েছেন। হয়ত ঠিকভাবে খোজখবর নিলেই এটা জানা যাবে।
সারা যাকের বলেছেন, কর্মীদের ব্যক্তিগত ট্যুর ছিল। তিনি সম্পূর্ণই মিথ্যাচার করছেন। কর্মীরা বলছেন এটা তাদের বার্ষিক ট্যুর। যেটা এশিয়াটিকের তিনটি অফিসের কর্মীদের।
গণমাধ্যম কেনো নিশ্চুপ? আমাদের গণমাধ্যমগুলো হচ্ছে এশিয়াটিকের বিজ্ঞাপনের বড় ক্ষেত্র। তাই তারা কোনোভাবেই বাজার হারাতে চাচ্ছে না। কোনোমতে দায়সারা নিউজ করছে।
মোদ্দাকথা, এতবড় একটা ট্রাজেডি শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের, অথচ প্রায় সব গণমাধ্যমই নিশ্চুপ। কেউ কোন খোজখবর নিচ্ছে না।
সুত্র: এশিয়াটিকের বর্তমান ও সাবেক কর্মী ।